নজর রাখুন

ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন -রোজা রাখার উপায় ডাঃ সেখ হাম্মাদুর রহমান_কনসালট্যান্ট, এন্ডোক্রিনলজি এবং ডায়াবেটিস বিভাগ, মেডিকা হাসপাতাল, মুকুন্দপুর, কলকাতা***নিউরো-রোগ আক্রান্ত ব্যক্তি-রোজা রাখার নিয়ম ও সতর্কতা-নিউরো বিশেষজ্ঞ, ডা: এম এম সামিম# # #রমজান মাসে সুস্থ থেকে রোজা পালনে কিছু নিয়মাবলী অনুসরণ করুন যা স্বাস্থ্য উন্নত করবে-জানালেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ কলিমুজ্জামান মোল্লা।# # #ভারতে আকুপাংচার চিকিৎসার পথিকৃত, ডা: বিজয় কুমার বসুর ১১৩ তম জন্মদিন জাতীয় আকুপাংচার দিবস হিসাবে উৎযাপন# # # মস্তিষ্কের টিউমার, ডাঃ কৌশিক শীল # # #২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হৃদয় দিবস-ডাঃ সৌম্য পাত্র এর স্বাস্থ্যকর অভ্যাসেই রেহাই মিলবে হৃদরোগ থেকে !.##মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ডাঃ অনির্বান রায় এর খুশি মনে সুস্থ থাকুন ! # # #২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হৃদয় দিবস-ডাঃ সৌম্য পাত্র এর স্বাস্থ্যকর !.##মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ডাঃ অনির্বান রায় এর খুশি মনে সুস্থ থাকুন !>Latest news !.

বুধবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৮

সিওপিডি প্রতিরোধযোগ্য

২১ নভেম্বর বিশ্ব সিওপিডি দিবস
সিওপিডি প্রতিরোধযোগ্য
ডাঃ হুমায়ুন কবীর
বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ
দুর্গাপুর মিশন হসপিটাল
এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, পৃথিবীতে ২৫১ মিলিয়ান সিওপিডি তে আক্রান্ত। এবং প্রতি বছর এতে মারা যায় ৩.১৫ মিলিয়ান এরও বেশি। এক সমীক্ষা থেকে জানা যায় ভারতে ৩ কোটিরও বেশি সিওপিডি তে আক্রান্ত। প্রতি বছর এই রোগে ৩ লক্ষ  এরও বেশি ভারতীয় মারা যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমান, ২০২০তে এটি বিশ্বের তৃতীয় মারণ রোগে পরিণত হবে।
সি ও পি ডি কি
ফুসফুসের প্রদাহ জনিত রোগ সিওপিডি (ক্রনিক অবসট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ), যা ফুসফুসের শ্বাসনালী ও অ্যালভিওলাইকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এবং যার ফলে ফুসফুসের কর্ম ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে থাকেশ্বাসকষ্ট এবং কাশি হল এই রোগের প্রধান দুটি উপসর্গ
 কোন বয়সে
এই রোগের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি হয় বার্ধক্যে অর্থাৎ ষাট বছরের উর্দ্ধে সাধারণত এই রোগ চল্লিশ বছর বয়সের কমে হয় না। তবে কিছু জিন গত সমস্যার কারণে এই রোগের বহিঃপ্রকাশ খুব অল্প বয়সেও হতে পারে।
কাদের বেশি হয়
সাধারণত পুরুষরাই এই রোগে বেশী আক্রান্ত হয়। তবে এটা নির্ভর করে পরিবেশ দূষণের মাত্রার উপর অর্থাৎ যেসব এলাকার পরিবেশ দূষণ (কলকারখানা, ধোঁয়া) এর মাত্রা বেশী হয়, সেখানকার অধিবাসীদের মধ্যেই এই রোগের মাত্রা বেশী হয়। উল্লেখ্য যেসব গ্রামীন মহিলারা কাঠ, কয়লার উনুন এ রান্না করেন তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ বেশী হতে দেখা যায়।
কারণ
* ধূমপান হল এর অন্যতম প্রধান কারণ।
* কলকারখানা, গাড়ির ধোঁয়া, জীবাশ্ম জ্বালানী(কাঠ, কয়লা) র ব্যবহার
* ছোট বেলায় ঘন ঘন ফুসফুসে সংক্রমন।
* তাছাড়া কিছু জিনগত কারণেও এই রোগ হতে পারে।
রোগের লক্ষণ
·      এই রোগের প্রধান লক্ষণ হল শ্বাসকষ্ট এবং কাশি।
· সাথে কফ, বুকের মধ্যে চাপ ভাব এবং বুকে সাই সাইআওয়াজ হওয়া। 
শ্বাসকষ্ট পরিশ্রম করলে বাড়ে আবার বিশ্রাম নিলে তা তৎক্ষনাত কমে যায়।
·     তাছাড়া পা-ফোলা, বুকে ব্যথা, হাড়ে ব্যথা, ওজন হ্রাস হতে পারে।
·      এইসব রোগীদের টিবি ও ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা প্রবল।
না করালে জটিলতা
চিকিৎসা না করলে ফুসফুসের কর্মদক্ষতা দ্রুতহারে হ্রাস পায়। শ্বাসকষ্ট কাশির তীব্রতা খুব বেড়ে যায়। সাধারণ সর্দি কাশি এই সব রোগীদের ক্ষেত্রে প্রাণঘাতি হয়ে দাঁড়ায়।
অ্যাজমার ও সিওপিডি
সাধারণত ছোটবেলা থেকে শুরু হয় অ্যাজমাএতে সাধারণত একটা ট্রিজারিং ফ্যাক্টর থাকে (ধুলো, ধোঁয়া, ঠান্ডা লাগা, অ্যালার্জি) এবং ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে এই রোগের উপসর্গ মাত্রা পরিবর্তন হতে থাকেএতে রোগীর সর্দি, গা হাত পা চুলকানির প্রবণতা হতে দেখা যায়। অবশ্য এই দুটি রোগ একসাথে থাকতে পারে যাকে ওভারল্যাপ সিন্ডোম বলে।
প্রয়োজন যখন সাবধানতা
এইসব রোগীর ফুসফুসের ক্ষমতা খুব কম থাকে। তাই ঘন ঘন ঠান্ডা লাগানো মারাত্মক হতে পারে। ধূমপান বর্জন করা, বায়ু দূষণ থেকে নিজেকে বাচিয়ে চলা (মাক্স ব্যবহার)। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা নিউমোকক্কাস টিকা নেওয়া ও খাবার ঠিকঠাক (প্রোটিন, ক্যালসিয়াম যুক্ত) খাওয়া। এবং রোগী বিশেষে আরও সাবধানতা অবলম্বন করতে হতে পারে।
ফুসফুস ছাড়া আক্রান্ত হয়
ফুসফুস ছাড়াও এই রোগে হৃদরোগ (ইস্কিমিক হার্ট ডিজিজ, কর পালমোনেলী ইত্যাদি) হবার সম্ভাবনা প্রবল। তাছাড়া হাড়ের ক্ষয়, মাংসপেশী দুর্বলতা, ক্যান্সারও হতে পারে। উল্লেখ্য যে এই রোগীরা মানসিক ডিপ্রেসন বা অ্যাংজাইটির শিকার হয়ে থাকে।
প্রতিরোধযোগ্য
অবশ্যই এটা প্রতিরোধযোগ্যধূমপান বর্জন, পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ, জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহার বর্জন হল এর প্রধান পদক্ষেপ। বাচ্চাদের সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার ট‌িকা এবং অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণ করা হলে ভবিষ্যতে এই রোগের প্রবণতা কমে যায়।
যখন উপসর্গগুলি বাড়ে
ফুসফুসে ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমন, পরিবেশ দূষণ, তাপমাত্রা আদ্রতার তারতম্য, রোগের উপসর্গগুলি বাড়িয়ে তোলে । এর ফলে শ্বাসকষ্ট এবং কাশির পরিমান বেড়ে যেতে পারে।
পরীক্ষা নিরীক্ষা
চিকিৎসকরা সাধারণত বুকের ছবি, পালমোনারি ফাংশন টেস্ট, দরকার পড়লে সিটি স্ক্যান এবং রোগী বিশেষে আরও অন্যান্য পরীক্ষা করিয়ে থাকেন। সিওপিডি রোগীদের হৃদরোগ হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে তাই চিকিৎসকরা ইকোকার্ডিওগ্রাফি, ইসিজি করিয়ে থাকেন।বিশেষজ্ঞ হিসাবে পরামর্শ
সিওপিডি একটি প্রতিরোধযোগ্য অসুখ। সময় মত এবং নিয়মিত ইনহেলার এর ব্যবহার করলে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চালিয়ে যান। তাতে আপনি দৈনন্দিন জীবনে বিরক্তিকর শ্বাসকষ্ট এবং কাশি থেকে অনেকটা রেহাই পাবেন।
যোগাযোগ-৭৯০৮০৭৭৬৯৮

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured Post

ডায়াবেটিস,হাইপারটেনশন রোজা রাখার উপায়

        ডায়াবেটিস ,   হাইপারটেনশন       রোজা রাখার উপায় ডাঃ সেখ হাম্মাদুর রহমান কনসালট্যান্ট, এন্ডোক্রিনলজি এবং ডায়াবেটিস বিভাগ, মেডিকা হা...