২৯ অক্টোবর বিশ্ব স্ট্রোক দিবস
একটু সচেতনতা রুখতে পারে স্ট্রোক
অধ্যাপক ও স্নায়ুবিশেষজ্ঞ দীপেশ
কুমার মন্ডল
সভাপতি স্ট্রোক ফাউন্ডেশন অফ
বেঙ্গল
সংখ্যা বাড়ছে
স্ট্রোকের সংখ্যা ক্রমশঃ বেড়েই
চলেছে। এর জন্য মূলতঃ উচ্চরক্তচাপই দায়ী। এছাড়া অসংযত জীবনশৈলী, অস্বাস্থ্যকর
খাদ্যাভাস, নিয়মিত ব্যায়াম না করা, বিভিন্ন রকম ধূমপানের (সিগারেট, দোক্তা, জরদা,খয়নি, গুটকা) প্রতি আসক্তি, উচ্চ কোলেস্টরল, ওবিসিটি (মোটা হওয়া)
হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস এবং ইদানিং বায়ু দূষণের সঙ্গে স্ট্রোকের সম্পর্ক আছে বলে
জানা গেছে। স্টোকের সঙ্গে যদি কোন একটা অসুখের সম্পর্ক সরাসরি যুক্ত
থাকে, সেটা হল উচ্চরক্ত চাপ। দশম ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক কংগ্রেসে ২০১৬ এ বলা হয়েছিল
যে, ১০টা রিক্স ফ্যাক্টর এর জন্য ৯০ ভাগ স্ট্রোক হয়। এগুলি সহজেই প্রতিরোধ করা
যায়। তারমধ্যে ১ নম্বরে আছে উচ্চ রক্তচাপ (১৩০/৮০ মিমি মার্কারি
বা তার বেশি)। এই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে প্রায় ৫০ শতাংশ স্ট্রোক
হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। যাদের উচ্চ রক্তচাপ থাকে, তাদের অন্যান্যদের তুলনায়
অনেকগুন বেশী স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বিশ্বে ৮০ মিলিয়ন
আমেরিকাতে যত লোক মারা যায় তার বেশির ভাগই হার্ট অ্যাটাকে। তারপর ক্যান্সার এবং চার-পাঁচ নম্বরে আছে স্ট্রোক। আবার চিনে এক নম্বরে । চিনে সবচেয়ে বেশি লোক মারা যায় স্ট্রোকে। কোন দেশের স্ট্রোক হবার হার স্থানকালপাত্র, লাইফ স্ট্রাইল, ব্লাড প্রেসার, জেনেটিক ফ্যাক্টর এগুলোর উপর নির্ভর করে। চিন এ উচ্চরক্তচাপের হার খুব বেশি। ফলে স্ট্রোক (মস্তিকের রক্তক্ষরণের হার বেশি) ও বেশি। বিশ্বজুড়ে স্ট্রোক আক্রান্ত রুগী আছেন ৮০ মিলিয়ন, তার মধ্যে স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় ৫০ মিলিয়ান। মৃত্যু এবং পঙ্গুত্বের কারণে নষ্ট হয় ১১৬ মিলিয়ান কর্মদিবস। অনুন্নত দেশে গরীব লোকেদের মধ্যে স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। কারণ হিসাবে জানা গেছে, দারিদ্র, শিক্ষার অভাব এবং সচেতনতার অভাবই এর জন্য দায়ী। তাঁরা জানেন না স্ট্রোকটা কেন হয় বা স্ট্রোক কি।
ভাল নয়
ভারতবর্ষের অবস্থা মোটেই ভাল নয়। ভারতবর্ষে বছরে প্রায় ২০ লক্ষ লোক স্ট্রোক এ আক্রান্ত হন। তার মধ্যে প্রায় ৭ লক্ষ লোক মারা যান। আর যাঁরা বাঁচেন তাদের মধ্যে ২/৩ ভাগ পঙ্গু হয়ে যায়। অল্প বিস্তার পঙ্গুত্বের কারণে তাদের কাজকর্ম ব্যহৃত হয়। মৃত্যু এবং পঙ্গুত্বের কারণে নষ্ট হয় বহু কর্মদিবস। সুতরাং মৃত্যু এবং পঙ্গুত্ব মিলে স্ট্রোক হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মারাত্মক অসুখ। এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। শীঘ্রই প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এটা মহামারী রূপে দেখা দিতে পারে।
সমস্যটা একটু বেশি
আমাদের দেশে সমস্যটা একটু বেশি। বিদেশে যেখানে ৭০ বছর বয়সে স্ট্রোক হয়, সেখানে এদেশে ৫০ এর কাছাকাছি বয়সে হয় অর্থাৎ ১৫-২০ বছর আগেই স্ট্রোক হয়ে যায়। কোলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০০৩ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ২২ হাজার স্ট্রোকের মধ্যে বেশির ভাগই ৫০ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে এবং মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের হার প্রায় ৫০ শতাংশ। ১৫-২০ বছর আগেই স্ট্রোক হবার ফলে বিদেশের তুলনায় এদেশে পঙ্গুত্বের ভোগানিটাও বেশি হয়। আমাদের দেশে সরকারি সাহায্য পাওয়া যায় না, তাই নিজের-বাড়ির পয়সাতেই চালাতে হয়। সেই জন্য সমস্যাটা আরও বেশি হয়। এক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা হল আমাদেরই প্রতিরোধ ব্যবস্থা করতে হবে। সমস্ত প্রচার মাধ্যম, সরকারি-বেসরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত সংস্থাকে সচেতনতার ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। এব্যাপারে একটা আশার কথা হল স্ট্রোক প্রতিরোধে সহজতম পন্থা হল স্ট্রোক রিস্কোমিটার অ্যাপের ব্যবহার। এই অ্যাপের সাহায্যে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের যে কোন মানুষ তার স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা কতটা এবং তার সঠিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা করে দিতে পারবে।
এদেশে চিকিৎসার পরিকাঠামো
বিশ্বে ৮০ মিলিয়ন
আমেরিকাতে যত লোক মারা যায় তার বেশির ভাগই হার্ট অ্যাটাকে। তারপর ক্যান্সার এবং চার-পাঁচ নম্বরে আছে স্ট্রোক। আবার চিনে এক নম্বরে । চিনে সবচেয়ে বেশি লোক মারা যায় স্ট্রোকে। কোন দেশের স্ট্রোক হবার হার স্থানকালপাত্র, লাইফ স্ট্রাইল, ব্লাড প্রেসার, জেনেটিক ফ্যাক্টর এগুলোর উপর নির্ভর করে। চিন এ উচ্চরক্তচাপের হার খুব বেশি। ফলে স্ট্রোক (মস্তিকের রক্তক্ষরণের হার বেশি) ও বেশি। বিশ্বজুড়ে স্ট্রোক আক্রান্ত রুগী আছেন ৮০ মিলিয়ন, তার মধ্যে স্থায়ীভাবে নিষ্ক্রিয় ৫০ মিলিয়ান। মৃত্যু এবং পঙ্গুত্বের কারণে নষ্ট হয় ১১৬ মিলিয়ান কর্মদিবস। অনুন্নত দেশে গরীব লোকেদের মধ্যে স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। কারণ হিসাবে জানা গেছে, দারিদ্র, শিক্ষার অভাব এবং সচেতনতার অভাবই এর জন্য দায়ী। তাঁরা জানেন না স্ট্রোকটা কেন হয় বা স্ট্রোক কি।
ভাল নয়
ভারতবর্ষের অবস্থা মোটেই ভাল নয়। ভারতবর্ষে বছরে প্রায় ২০ লক্ষ লোক স্ট্রোক এ আক্রান্ত হন। তার মধ্যে প্রায় ৭ লক্ষ লোক মারা যান। আর যাঁরা বাঁচেন তাদের মধ্যে ২/৩ ভাগ পঙ্গু হয়ে যায়। অল্প বিস্তার পঙ্গুত্বের কারণে তাদের কাজকর্ম ব্যহৃত হয়। মৃত্যু এবং পঙ্গুত্বের কারণে নষ্ট হয় বহু কর্মদিবস। সুতরাং মৃত্যু এবং পঙ্গুত্ব মিলে স্ট্রোক হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মারাত্মক অসুখ। এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। শীঘ্রই প্রতিরোধ ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এটা মহামারী রূপে দেখা দিতে পারে।
সমস্যটা একটু বেশি
আমাদের দেশে সমস্যটা একটু বেশি। বিদেশে যেখানে ৭০ বছর বয়সে স্ট্রোক হয়, সেখানে এদেশে ৫০ এর কাছাকাছি বয়সে হয় অর্থাৎ ১৫-২০ বছর আগেই স্ট্রোক হয়ে যায়। কোলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০০৩ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ২২ হাজার স্ট্রোকের মধ্যে বেশির ভাগই ৫০ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে এবং মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের হার প্রায় ৫০ শতাংশ। ১৫-২০ বছর আগেই স্ট্রোক হবার ফলে বিদেশের তুলনায় এদেশে পঙ্গুত্বের ভোগানিটাও বেশি হয়। আমাদের দেশে সরকারি সাহায্য পাওয়া যায় না, তাই নিজের-বাড়ির পয়সাতেই চালাতে হয়। সেই জন্য সমস্যাটা আরও বেশি হয়। এক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা হল আমাদেরই প্রতিরোধ ব্যবস্থা করতে হবে। সমস্ত প্রচার মাধ্যম, সরকারি-বেসরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত সংস্থাকে সচেতনতার ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। এব্যাপারে একটা আশার কথা হল স্ট্রোক প্রতিরোধে সহজতম পন্থা হল স্ট্রোক রিস্কোমিটার অ্যাপের ব্যবহার। এই অ্যাপের সাহায্যে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তের যে কোন মানুষ তার স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা কতটা এবং তার সঠিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা করে দিতে পারবে।
এদেশে চিকিৎসার পরিকাঠামো
যে দেশে এত বেশি স্ট্রোক হচ্ছে সেদেশে স্ট্রোক
চিকিৎসার পরিকাঠামো সরকারি বা বেসরকারি ভাবে সেরকম নেই।
কোন সরকারি হাসপাতালেও স্ট্রোকের জন্য আলাদা কোন ডিপার্টমেন্ট, ইউনিট বা সেন্টার নেই। বড় বড় হাসপাতালে হয়ত আছে কিন্ত তাতে খরচ অনেক বেশি এবং স্ট্রোক চিকিৎসার ফলাফল
খুব একটা ভালো নয়। হার্ট অ্যাটাকে
আক্রান্তরা উপযুক্ত চিকিৎসার পর কয়েক মাস পরেই কাজে ফিরে যেতে পারে। কিন্ত স্ট্রোকের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা সম্ভব
হয় না। স্ট্রোকে বেঁচে গেলেও পঙ্গুত্বের
জন্য ভুগতে হয়। স্ট্রোকে আক্রান্ত প্রায় ১৫
শতাংশ লোক কাজে গেলেও ৮০ শতাংশে বেশি লোক কাজে যেতে পারে না। নিঃসন্দেহে এটা বেশ
হতাশজনক অবস্থা।
লক্ষণ F A S T
F-Face- মুখ বেঁকে যাওয়া
A-Arms- হাত অবশ হয়ে যাওয়া। দুটো হাত যদি সোজা সামনের দিকে তুলতে বলা হয় তাহলে দুর্বল হাতটা নিচের দিকে নেমে আসে।
S-Speech- কথা বলার মধ্যে জড়তা, বলতে সমস্যা বা বুঝতে সমস্যা।
T-Time- উপরের যে কোন একটি লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা না করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া।
লক্ষণ F A S T
F-Face- মুখ বেঁকে যাওয়া
A-Arms- হাত অবশ হয়ে যাওয়া। দুটো হাত যদি সোজা সামনের দিকে তুলতে বলা হয় তাহলে দুর্বল হাতটা নিচের দিকে নেমে আসে।
S-Speech- কথা বলার মধ্যে জড়তা, বলতে সমস্যা বা বুঝতে সমস্যা।
T-Time- উপরের যে কোন একটি লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারের জন্য অপেক্ষা না করে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া।
স্ট্রোকের ঝুঁকি জানাবে বাংলা অ্যাপ
স্ট্রোকের কোন ঝুঁকি আপনার আছে
কি না জানতে বিশ্ব স্ট্রোক সংস্থা
অনুমোদিত স্ট্রোক রিস্কোমিটার অ্যাপ ব্যবহার করুন। বিশ্বব্যাপী স্ট্রোক
সচেতনতা ও প্রতিরোধের জন্য পৃথিবীর ১৬০ টি দেশের ৫৬০ কোটি মানুষের ১২টি ভাষায়
তৈরি হয়েছে এই অ্যাপ। এই মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমেই সহজে জানা যাবে আগামী ৫/১০ বছরে আপনার
স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা কতটা, পরামর্শ পাওয়া যাবে
বিশেষজ্ঞদের। অ্যাপটি বাংলায় অনুবাদ করেন ‘স্ট্রোক ফাউন্ডেশন অফ
বেঙ্গল’- এর
সভাপতি অধ্যাপক ও স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ দীপেশ কুমার মন্ডল ও তাঁর সহযোদ্ধারা।
বাংলা এই অ্যাপ এর মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও বাংলাদেশের বেশ কয়েক
কোটি লোক লাভবান হবে।
চিকিৎসা তিন
বিশ্ব স্ট্রোক সংস্থা স্ট্রোকের সামগ্রিক চিকিৎসা তিনটি ভাগে বিভক্ত করেছে
১.অ্যাওয়ারনেস-বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম, মিডিয়ার মাধ্যমে জনসাধারণের স্ট্রোক সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়ানো।
২.অ্যাকসেস- যখন কোন ব্যক্তি মনে করবেন যে তার মধ্যে স্ট্রোক হওয়ার মত রিক্স ফ্যাক্টার আছে তখন তিনি কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে গিয়ে চেক আপ করানো(প্রিভেনশন ক্লিনিক)।যেমন উচ্চরক্তচাপ থাকলে তিনি হাইপারটেনশন ক্লিনিককে যাবেন।এই সময় স্ট্রোক রিস্কোমিটার অ্যাপ ব্যবহার খুব জরুরি কারণ এর মাধ্যমে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কতটা তা জানতে পারবেন।
৩.অ্যাকশন- স্ট্রোক হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করে উপযুক্ত চিকিৎসা জরুরি।
হাসপাতাল থেকে ছাড় পাওয়ার পরও
চিকিৎসা তিন
বিশ্ব স্ট্রোক সংস্থা স্ট্রোকের সামগ্রিক চিকিৎসা তিনটি ভাগে বিভক্ত করেছে
১.অ্যাওয়ারনেস-বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম, মিডিয়ার মাধ্যমে জনসাধারণের স্ট্রোক সম্বন্ধে সচেতনতা বাড়ানো।
২.অ্যাকসেস- যখন কোন ব্যক্তি মনে করবেন যে তার মধ্যে স্ট্রোক হওয়ার মত রিক্স ফ্যাক্টার আছে তখন তিনি কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিকে গিয়ে চেক আপ করানো(প্রিভেনশন ক্লিনিক)।যেমন উচ্চরক্তচাপ থাকলে তিনি হাইপারটেনশন ক্লিনিককে যাবেন।এই সময় স্ট্রোক রিস্কোমিটার অ্যাপ ব্যবহার খুব জরুরি কারণ এর মাধ্যমে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা কতটা তা জানতে পারবেন।
৩.অ্যাকশন- স্ট্রোক হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি করে উপযুক্ত চিকিৎসা জরুরি।
হাসপাতাল থেকে ছাড় পাওয়ার পরও
হাসপাতাল থেকে ছাড় পাওয়ার পরও তার চিকিৎসা কিন্তু বন্ধ হয় না। পঙ্গুত্বের জন্য সারাজীবন চিকিৎসা (সমস্ত থেরাপি) করে
যেতে হয়। বিশেষত যাদের বেশি মাত্রায়
পঙ্গুত্ব আছে। এছাড়া যে যে কারণে স্ট্রোক হয়েছে তার চিকিৎসার জন্য সারাজীবন ওষুধ
খেয়ে
যেতে হবে। যেমন উচ্চরক্তচাপ, কোলস্টরল, ডায়াবেটিস ইত্যাদি।
তাছাড়া অ্যাসপিরিন (ইসমিক স্ট্রোকের জন্য) জাতীয় ওষুধ
খেয়ে যেতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ
অনুযায়ী। এগুলো খাওয়ার প্রয়োজন
আছে যাতে আবার স্ট্রোক না হয়। স্ট্রোকের মত জটিল সমস্যায় শুধু চিকিৎসাই নয়, চিকিৎসার পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসনকেন্দ্র চিকিৎসার এর জন্যও প্রচুর পরিমানে খরচ
হয়।
স্ট্রোক সার্পোট গ্রুপ
স্ট্রোক সার্পোট গ্রুপ
ওয়ার্ল্ড স্ট্রোক অরগানাইজেশন যাদের স্ট্রোক হয়েছে, পঙ্গু হয়ে গেছে তাদের সহায়তা করার জন্য একটা স্ট্রোক সাপোর্ট অরগানাইজেশন করেছে। এখানে স্ট্রোক
ফাউন্ডেশন অফ বেঙ্গল ও যাদের স্ট্রোক হয়েছে তাদের নিয়ে স্ট্রোক সার্পোট গ্রুপ
(এস এস জি) তৈরি করেছে। এই গ্রুপে নিজেদের মধ্যে মাঝে মাঝে চিকিৎসা ও স্ট্রোক
বিষয়ে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে আলোচন করা হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে বিশ্বব্যাপী সবাইকে
সচেতন করার জন্য প্রতি বছর ২৯ অক্টোবর স্ট্রোক দিবস
পালন করা হয়। এবং প্রতি বছর তার মধ্যে একটা বার্তা দেওয়া
হয়। এবছরের থিম হল “স্ট্রোকের পর-আবার স্বাভাবিক হয়ে
গেছি”(up again after stroke)।
সরকারি খরচেই
সর্বোপরি সরকারি খরচেই স্ট্রোক এর চিকিৎসা করতে হবে। সরকারের গোচরে আনতে হবে যে সাধারণ
লোকের পক্ষে চিকিৎসার খরচ বহন করা সম্ভব নয়। সেইজন্য ওয়াল্ড হেলথ অরগানাইজেশন এবং ইউনাইটেড
নেশন একটা স্কিম এর প্রস্তাব দিয়েছে–“হেলথ ফর অল”। এর অর্থ হল প্রত্যেকটা লোকেরই চিকিৎসা সরকারকে
করতে হবে। টাকা নেই বলে তার চিকিৎসা হবে না- এটা কোন কথা নয়। অন্যান্য অধিকারের মত
স্বাস্থ্যের অধিকারও তার থাকতে হবে। তাই ওয়াল্ড হেলথ অরগানাইজেশন এবং ইউনাইটেড
নেশন থেকে প্রত্যেক দেশকেই বলা হয়েছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব “হেলথ ফর অল” স্কিমটা চালু করতে। গত সেপ্টেম্বরে হেলথ এর উপরে ইউনাইটেড নেশন-এ একটা স্যামিট হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছে লো ইনকাম গ্রুপ ফ্যামিলিদের সরকারি পয়সায় যেন চিকিৎসা পায়।সবদেশের কর্ণধারই
উপস্থিত ছিলেন ঐ স্যামিট-এ। এবং সেই অনুযায়ী সবদেশেই এটা করা হচ্ছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রীও ওই স্যামিট-এ উপস্থিত ছিলেন।চিকিৎসার পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদী
পুনর্বাসনকেন্দ্র এর জন্য আলাদা টাকা
বরাদ্ধ করা উচিত বলেও প্রস্তাব দেওয়া হয়।
সহজেই প্রতিরোধ
কিছু নিয়মাবলী মানলে সহজেই প্রায়
৮০-৯০ শতাংশ স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব।
· উচ্চ রক্তচাপ থাকলে নুন
খাওয়া কমিয়ে দিন।
· নিয়মিত ৪০-৬০ মিনিট হাঁটা
অভ্যাস করুন
· নিজের ওজনের দিকে নজর
রাখুন। বেশী হলে কমাবার চেষ্টা করুন।
· ধূমপান, অ্যালকোহল খাওয়া
বন্ধ করুন।
নিয়মিত রক্তচাপ, সুগার,
কোলেস্টেরল চেক আপ করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শমত চলুন।
সতর্ক
সতর্ক
যাদের হার্টের অসুখ আছে বা মিনি
স্ট্রোক হয়েছে তারা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ মত নিয়মিত চিকিৎসা করাবেন।
স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শমত ওষুধ খেতে হবে। কোন ওষুধই চিকিৎসকের পরামর্শ
ছাড়া বন্ধ করা যাবে না।
No comments:
Post a Comment