নজর রাখুন

ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন -রোজা রাখার উপায় ডাঃ সেখ হাম্মাদুর রহমান_কনসালট্যান্ট, এন্ডোক্রিনলজি এবং ডায়াবেটিস বিভাগ, মেডিকা হাসপাতাল, মুকুন্দপুর, কলকাতা***নিউরো-রোগ আক্রান্ত ব্যক্তি-রোজা রাখার নিয়ম ও সতর্কতা-নিউরো বিশেষজ্ঞ, ডা: এম এম সামিম# # #রমজান মাসে সুস্থ থেকে রোজা পালনে কিছু নিয়মাবলী অনুসরণ করুন যা স্বাস্থ্য উন্নত করবে-জানালেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ কলিমুজ্জামান মোল্লা।# # #ভারতে আকুপাংচার চিকিৎসার পথিকৃত, ডা: বিজয় কুমার বসুর ১১৩ তম জন্মদিন জাতীয় আকুপাংচার দিবস হিসাবে উৎযাপন# # # মস্তিষ্কের টিউমার, ডাঃ কৌশিক শীল # # #২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হৃদয় দিবস-ডাঃ সৌম্য পাত্র এর স্বাস্থ্যকর অভ্যাসেই রেহাই মিলবে হৃদরোগ থেকে !.##মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ডাঃ অনির্বান রায় এর খুশি মনে সুস্থ থাকুন ! # # #২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হৃদয় দিবস-ডাঃ সৌম্য পাত্র এর স্বাস্থ্যকর !.##মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ডাঃ অনির্বান রায় এর খুশি মনে সুস্থ থাকুন !>Latest news !.

বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

আপনার চক্ষুদানে উপকৃত হতে পারে চারজন



           জাতীয় চক্ষুদান পক্ষ ২৫ আগষ্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর
 আপনার চক্ষুদানে উপকৃত হতে পারে চারজন                                             
                ডাঃ সুজয় সরকার                              
চক্ষু বিশেষজ্ঞ
 আই কেয়ার এন্ড রিসার্চ সেন্টার
প্রতি বছরই ২৫ আগষ্ট থেকে ৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় চক্ষুদান পক্ষ উদযাপিত হয়। চক্ষুদানের অঙ্গীকারে জনগনকে উদ্বুদ্ধ করা এবং জনসচেতনতা গড়ে তোলা হল এই উদযাপনের মূল লক্ষ্য। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জনস্বাস্থ্যে অন্ধত্ব এক বড় সমস্যা। ওয়াল্ড হেলথ অরগানাইজেশন (হু) এর এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, কর্ণিয়ার রোগ, ছানি ও গ্লুকোমার পর দৃষ্টিহীনতা অন্ধত্বের মূল কারণ।
১.উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অন্ধত্ব জনস্বাস্থ্যে এক বড় সমস্যা–কারণ কি?
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অন্ধত্ব জনস্বাস্থ্যে এক বড় সমস্যার মূলতঃ কারণ হল আর্থসামাজিক পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাব। উন্নতশীল দেশে যে সুযোগ সুবিধা আছে তার ফলে নাগরিকরা তাড়াতাড়ি চিকিৎসা ও রোগ প্রতিরোধের ব্যাপারে সচেতন হন। এদেশে সেটা নেই। ফলে চোখটা লাল, করকর কেন করছে বা এর ফলে চোখের কি ক্ষতি হতে পারে সেবিষয়ে আমাদের সচেতনতা নেই। যে দিন আনে- দিনে খায় তাকে যদি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য যেতে হয় তবে তার পুরো দিনের মজুরীই চলে যায়। ফলে পরের বার স্বাস্থ্য পরিষেবার যাওয়ার ব্যাপারে অনিহা দেখা দেয় ফলে সমস্যা বাড়ে। আর তার ফলেই বেড়ে চলেছে সমস্যা।
ঘ. যে ব্যক্তি এক চোখে অন্ধ বা কম দেখে- সে অন্য চোখেও চোট খেতে পারে বা তার অন্য চোখেও ক্ষতি হতে পারে।
২. কি কি কারণে ব্যাপক হারে কর্ণিয়ার অসুখ/ অন্ধত্ব বেড়ে চলেছে?
ক. অপুষ্টি/ ভিটামিন এ' এর অভাব।
খ. জন্মগত ও মাতৃত্বকালীন গভার্বস্থার সংক্রমণ (রুবেলা, হার্পিস ইত্যাদি)
গ. সঠিক টীকাকরণ অভাব- বাচ্চাদের সঠিক ভাবে টীকাকরণ হলে অনেক সংক্রামক রোগ থেকেই 
বাচ্চারা রক্ষা পায়, তার ফলে অপুষ্টিও চোখের সংক্রমণও কম হয়।
ঘ. আঘাত ও দূর্ঘটনা, কৃষিকাজ বা
কলকারখানায় কাজ করার সময় 
যদি মানুষ প্রতিরক্ষামূলক চোখের 
কাচ/চোখের পরিধান (protective 
eyeglass/ eye wear)  ব্যবহার 
করে তবে কর্ণিয়া দুর্ঘটনা / 
আঘাতজনিত সংক্রমণ এর হার অনেক কমতে পারে।
ঙ. কখনও কখনও চোখ অপারেশন এর কারণেও হতে পারে।
‌চ. কর্ণিয়ার সংক্রমণ- গ্লুকোমা, ব্যাকটিরিয়াল ও ফাংগাল (ছত্রাকজনিত) সংক্রমণ
ছ. Traditional Medicines ব্যবহার কিংবা Self Treatment এর কারণে হতে পারে।
৩. এর সমাধান কি?
ক. জনসচেতনা বৃদ্ধিঃ চোখের কোন কষ্ট, জল পড়া, লাল হওয়া, ব্যথা হওয়া কিংবা দেখতে কষ্ট হওয়ার মত সমস্যা হলে নিজে বা অন্যের কাছে শুনে চিকিৎসা না করে, তৎক্ষনাৎ চক্ষু চিকিৎসককে দেখান বা নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে গিয়ে চক্ষু চিকিৎসককে দেখান।
খ. আর্থসামাজিক পরিস্থিতির উন্নয়ন করতে হবে
গ. স্কুলে স্কুলে স্বাস্থ্যচেতনা বৃদ্ধি করে
ঘ. যারা এমন পেশায় আছে যেখানে চোখে আঘাত লাগার সম্ভাবনা বেশি তাদের protective eye glass ব্যবহার করতে উৎসাহিত করা।
ঙ. ধার্মিক ভাবে মানুষকে উৎসাহিত করা।
. এদেশে অন্ধত্বের সংখ্যা কেমন?
এক সমীক্ষা থেকে জানা যায়,পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি অন্ধ মানুষ বাস করেন ভারতে। পৃথিবীর ৩ জন অন্ধ ব্যক্তির একজন ভারতে বাস করেন। আর ভারতে প্রতি ৮০ জনে একজন দৃষ্টিহীন। ভারতবর্ষে অন্ধত্বের একটা বড় কারণ হল রেটিনার অসুখ। ভারতবর্ষে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ২৫-৩০ হাজার জন মানুষ অন্ধত্বের শিকার হন। সমীক্ষা থেকে আরও জানা যায়, ২০২০ সালের মধ্যে ভারতে দৃষ্টিহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০.৬ মিলিয়ান ছাড়িয়ে যাবে।
. মানুষ চক্ষুদান সম্পর্কে এখনও সেরকম সচেতন নয় কেন?
মানুষ যে কোন দান সম্বন্ধেই স্বাভাবিক ভাবে উদাসীন যদি না সে অন্য কোন ভাবে উৎসাহিত না হয়। তবে সচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে মানুষ নিঃসন্দেহে এই ঐতিহ্যপূর্ণ কাজে সামিল হবেন।
. কে চক্ষুদাতা হতে পারে?
সকলেই চক্ষুদাতা হতে পারেন, যদি না তার কর্ণিয়াটি আগে থেকেই ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে।
. চক্ষুদান করতে কি কি শর্ত প্রয়োজন?
চক্ষুদান করতে সেরকম কোন শর্তের প্রয়োজন নেই, তবে ক্ষতিগ্রস্থ কর্ণিয়া এবং বিশেষ কিছু সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ছাড়া যে কেউ চক্ষুদান করতে পারেন।
. কি কি কারণে চক্ষুদান করা যেতে পারে না?

যদি না কতগুলি সংক্রামক রোগ ও মুষ্টিমেয় কিছু ক্যান্সারের মৃত্যু হয়ে থাকে।
. ডায়াবেটিস রোগীরা কি চক্ষুদান করতে পারে?
হ্যাঁ, ডায়াবেটিস রোগীরাও চক্ষুদান করতে পারেন।
. মৃত্যুর কত পরে কর্ণিয়া প্রতিস্থাপন করা যায়?
৪-৬ ঘন্টার মধ্যে।
. একজনের চক্ষুদানে কতজন উপকৃত হতে পারে?
সর্বোচ্চ ৪ জন উপকৃত হতে পারে।
. কোথায় চক্ষুদান করা যায় এবং কিভাবে?
বিভিন্ন হাসপাতাল, সরকারী বেসরকারী ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, এমনকি বাড়ীতে, শশ্মানেও বিভিন্ন সংস্থা এই কাজটি করছেন। তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে ও একটি অঙ্গীকার ফর্ম ভরতে হবে।
. চক্ষুদাতার মৃত্যুর পর বাড়ির লোকেদের প্রতি কি নির্দেশ থাকবে?
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিকবর্তী সংস্থায় বা আই ব্যাঙ্কে যোগাযোগ করুন।
১৪.চক্ষুদান সম্পর্কে সকলের প্রতি-বিশেষজ্ঞ হিসাবে আপনার পরামর্শ
দৃষ্টিহীনতা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ঠিক করা যায় চক্ষুদানের মাধ্যমে। আপনার চক্ষুদান একজন মানুষের অন্ধত্ব ঘুচিয়ে চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দিতে পারে। তাই সাধারণ মানুষের মধ্যে চক্ষুদান সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে, আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, সামাজিক ও ধর্মীয় যে ভুল ধারণগুলো আছে তা দূর করতে হবে। তাহলেই কমতে পারে অন্ধত্বের হার। মনে রাখবেন চক্ষুদান এক মহান কাজ।     ওসিউর রহমান, ৭৯৮০১৫৫২৭৭

  
                                                       

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured Post

ডায়াবেটিস,হাইপারটেনশন রোজা রাখার উপায়

        ডায়াবেটিস ,   হাইপারটেনশন       রোজা রাখার উপায় ডাঃ সেখ হাম্মাদুর রহমান কনসালট্যান্ট, এন্ডোক্রিনলজি এবং ডায়াবেটিস বিভাগ, মেডিকা হা...