নজর রাখুন

###আমার, আপনার ভালো থাকার জন্যই তো লক ডাউন-ডাঃ প্রদীপ কুমার দাস # # # করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বিশ্ব-ডাঃ প্রদীপ কুমার দাস, সভাপতি আই এম এ, শ্রীরামপুর শাখা* * * ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায়-ডাঃ মহম্মদ সামসুজ্জামান,অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, বর্ধমান মেডিকেল কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ***গ্রীষ্মকালে শিশুদের সমস্যা ও প্রতিকার***ডাঃ কুন্তল বিশ্বাস, শিশু বিশেষজ্ঞ,কোলকাতা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল***১৪ ই জুন**বিশ্ব রক্তদাতা দিবস**রক্তদান জীবনদান-অপূর্ব ঘোষ*সাধারণ সম্পাদক*পশ্চিমবঙ্গ ভলাল্টারি ব্লাড ডোনার্স ফোরাম********** সোয়াইন ফ্লু থেকে রেহাই পাবার উপায়-ডাঃ প্রদীপ কুমার দাস...পড়ুন*****মস্তিষ্কের টিউমার, ডাঃ কৌশিক শীল,পড়ুন***শীতকালীন রোগের হাত থেকে বাঁচার উপায়....ডাঃ প্রদীপ কুমার দাস...পড়ুন*** ডাঃ দেবাশিস বকসী এর আকুপাংচার বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় চিকিৎসা --*** ২১ নভেম্বর বিশ্ব সিওপিডি দিবস। !. ১৪ই নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। !.পড়ুন***একটু সচেতনতা রুখতে পারে স্ট্রোক !.**স্ট্রোক হবার ঝুঁকি জানাবে মোবাইল অ্যাপ!. ###মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ডাঃ অনির্বান রায় এর খুশি মনে সুস্থ থাকুন***!. বার্ধক্যজনিত সমস্যা ও তার প্রতিকার নিয়ে ডাঃ প্রদীপ কুমার দাস এর বয়স বাড়লেও সতেজ থাকুন !. ***২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হৃদয় দিবস-ডাঃ সৌম্য পাত্র এর স্বাস্থ্যকর অভ্যাসেই রেহাই মিলবে হৃদরোগ থেকে !. ###ডাঃ কৌশিক শীল এর কোমরে ব্যথা থেকে রেহাই !. **##আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়াচ্ছে জাঙ্ক ফুড !-ডাঃ কুন্তল বিশ্বাস!.**আপনার চক্ষুদানে উপকৃত হতে পারে চারজন-ডাঃ সুজয় সরকার!.###নীরব ঘাতক উচ্চ রক্তচাপ - ডাঃ সেখ হাম্মাদুর রহমান!.***বেশি করে জল-ফল খান, সঙ্গে শারীরিক কসরৎ বাড়ান - ইফরা আহমেদ, ব্যারিয়াট্রিক নিউট্রিশনিস্ট!. ###মাতৃদুগ্ধের বিকল্প কিছু নেই - ডাঃ মহম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী!.!.####যোগাযোগ করুন*** -.

Wednesday, August 28, 2019

ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায়

ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায়
ডাঃ মহম্মদ সামসুজ্জামান
অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ
কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ
ডেঙ্গু কি
ডেঙ্গু জ্বর বা ব্রেকবোন ফিভার (breakbone fever) নামেও পরিচিত। একটি ভাইরাসঘটিত সংক্রামক রোগ। যে কোনো সংক্রামক রোগ মূলতঃ তিনটি জিনিসের আন্তঃ সম্পর্কের ফলে তৈরি হয় । ১. এজেন্ট অর্থাৎ যে রোগজীবানু (এক্ষেত্রে ডেঙ্গু ভাইরাস) ২. হোস্ট বা যাদের মধ্যে রোগটি হবে ও ৩.পরিবেশ।
ডেঙ্গু ভাইরাস-এটি একটি RNA  ভাইরাস এবং এর চারটি ভাগ
আছে- DENV-1, DENV-2 DENV-3, এবং DENV-4 এই চারটি সেরোটাইপ মিলে রোগর পূর্ণচিত্র তৈরি করে। যদি কেউ আগে DENV-১ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকেন এবং পরে DENV-২ বা DENV-৩ দ্বারা আক্রান্ত হন কিংবা প্রথমে যদি কেউ DENV-৩ আক্রান্ত হয়ে পরে DENV-২ তে আক্রান্ত হন, সে সব ক্ষেত্রে প্রবল জটিলতা দেখা দেয়
এটা কেন হয় কিভাবে হয় কিভাবে এটা ছড়ায়
ডেঙ্গু ভাইরাস প্রাথমিকভাবে এডিস মশা দ্বারা পরিবাহিত হয়, বিশেষ করে এজিস ইজিপ্টাই ভাইরাসের প্রাথমিক ধারক মানুষ এডিস মশার গায়ে ডোরাকাটা দাগ থাকে বলে একে বাঘ মশক ও বলা হয়
স্ত্রী মশা ডেঙ্গু আক্রান্তের রক্তপান করে সংক্রমিত হয় এবং প্রায় ৮-১০দিন পর ভাইরাস মশার লালাগ্রন্থিতে আসে এই সংক্রমিত মশা যখন সুস্থ মানুষকে কামড়ায়, মোটামুটি ভাবে ২-৭দিন পরে প্রথম উপসর্গ দেখা দেয এডিস মশা সাধারণত কৃত্রিম জলাধারে ডিম পাড়ে বাড়ির চারপাশের যেকোনো জমা জলে যেমন-ডাবের খোলা, প্লাস্টিকের বোতল, টায়ারের ভিতরে জমে থাকা জল, নিন্মীয়মান বাড়ির আশে পাশে জমে থাকা জলে, ফুলের টব, ফুলদানি, কুলার, এসি, ফ্রিজের জমা জল- ইত্যাদি জায়গায় ডিম পাড়ে এডিস মশা সাধারণত দিনের বেলায় কামড়ায়
এরোগ কাদের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা
যে কোনো বয়সের ব্যক্তিই আক্রান্ত হতে পারেন শিশু, ছোট
বাচ্চা, খুব বয়স্ক যাদের ইমিউনিটি কম, যেমন- ডায়য়াবেটিস, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী এদের ক্ষেত্রে রোগের প্রাবলন্য বেশি দেখা যায়
কোন সময় এরোগের প্রকোপ বেশি হয়
উপযুক্ত আবহাওয়া ও পরিবেশ ডেঙ্গুর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সাধারণতঃ জুন থেকে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, অর্থাৎ বর্ষাকালে ভিজে স্যাংত স্যাতে আবহাওয়া ডেঙ্গুর জন্য খুব উপযুক্ত এই সময়েই বেশির ভাগ ডেঙ্গুর শিকার হন
এই রোগের লক্ষণ
ডেঙ্গুর লক্ষণগুলো কতকগুলি ভাবে বিভক্ত করা যায়
প্রথমতঃ সাধারণ ডেঙ্গু দ্বরপ্রচন্ড জ্বর , মাথাব্যাথা, সমস্ত গায়ে হাতে পায়ে প্রচন্ড যন্ত্রণা, বমি, পেটে ব্যথা, এবং ছোট ছোট লাল পিঁপড়ের মত রাসএগুলোই প্রধান লক্ষণ
রক্তে অণুচক্রিকার পরিমান হ্রাস পেতে থাকে দ্বিতীয় ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর- যেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে রক্তক্ষরণ হতে পারে নাক থেকে রক্ত, বমির সাথে রক্ত, অতিরিক্ত মাসের রক্ত, কালো পায়খান হওয়া কিংবা মূত্র এবং পায়খানা থেকে রক্ত বের হতে পারে উপযুক্ত সময়ে চিকিৎসা শুরু না করলে ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে পরিণত হতে পারে
এক্ষেত্রে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়াএবং রক্তচাপ অত্যন্ত কমে যেতে পারেঠিকমত সময়ে চিকিৎসা শুরু
না হলে বিভিন্ন সিস্টেম যেমন- মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি, হার্টি, ফুসফুস- সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
এই লক্ষণগুলি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওষুধ খাওয়া উচিত। দোকান থেকে অ্যান্টিবায়েটিক কিনেখাওয়া একদমই উচিত নয়, কারণ এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
ডেঙ্গু ছোঁয়াচে কিনা
ডেঙ্গু রোগীর সঙ্গে ওঠাবসা করলে কখনোই ডেঙ্গু হবে না অর্থাৎ ডেঙ্গু মোটেই ছোঁয়াচে নয়যদি না ওই সংক্রামিত মশা
(যা ডেঙ্গুর বাহক) কামড়ায়।
চিকিৎসা
*সাধারণত বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীকে বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা করানো যেতে পারে।
*এক্ষেত্রে বেশী করে তরল খাদ্যবস্তু এবং ডিহাইড্রেশন এড়ানোর জন্য ও আর এস এর জল বেশী করে খাওয়ানো উচিত। (অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে)।
*প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কেন ওষুধ সাধারণত প্রয়োজন হয় না। যদি কোন রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে
প্রতিরোধের উপায়
*বাড়ির আশেপাশে জল জমতে দেবেন না, এবং বাড়ির ভিতরে এবং বাইরে যে যে জায়গায় জল জমতে পারে সেগুলো শুকনো এবং পরিষ্কার রাখতে চেষ্টা করুণ।
*লম্বা হাতওয়ালা জামা পরার চেষ্টা করুন (বিশেষত আশেপাশে কারুর ডেঙ্গু হয়ে থাকলে)
*রাত্রে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করুন।
*জ্বর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করান।
*ডেঙ্গু কখনো কখনো একটি ভয়ঙ্কর মহামারী রোগ হিসাবে দেখা দিতে পারে। এবিষয়ে বিশেষভাবে সচেতন হোন। তাই আসুন সবাই মিলে এর প্রতিরোধে সচেষ্ট হই। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

 

No comments:

Post a Comment

Featured Post

আজ নয় তো কাল (aaj noy too kaal)