স্বেচ্ছাসেবী
সংগঠনের পক্ষে ফুটপাতবাসীদের হাতে খাবার
কলকাতার ফুটপাতে বহু দরিদ্র মানুষকেই দিনযাপন
করতে দেখা যায়, যাদের অনেকেই ঠিকমত খেতে পায় না। খাবারের আশায় ঘুরে ঘুরে বেড়ায়
হোটেল কিংবা রেঁস্তোরার সামনে। কেউ দয়া করলে খাবার জোটে না হলে অভুক্ত অবস্থায়
কাটাতে হয় তাদের। অথচ উৎসব অনুষ্ঠানে বাড়িতে বহু খাবারেরই অপচয় হয়। সেই সমস্ত
খাবার যদি অভুক্তদের মুখে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেত তাহলে কতই ভালো হত তাই নয়
কি?
মুখে ফুটে উঠত না খেতে পাওয়া মানুষগুলোর খেতে পাওয়ার তৃপ্তির হাসি।
হ্যাঁ, এমনি কাজ করে চলেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার
মগরাহাট থানার অর্ন্তভুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মির্জাপুর আল মারুদীন চ্যারিটেবল
এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। সম্প্রতি সোসাইটি এর ব্যবস্থাপনায় কলকাতার পার্কসার্কাস
অঞ্চলের ফুটপাতের গরীব মানুষ ও বাচ্চাদের হাতে দুপুরের খাবার তুলে দেওয়া হয়। ওইসব
মানুষদের হাতে খাবার তুলে দেন সোসাইটির সেক্রেটারি রনি মুন্সী ও সংস্থার সদস্যরা।
এখন অনেক উৎসব অনুষ্ঠানের বাড়িই চাই না তাদের খাবার
অপচয় হোক, তাই তারা ফোন করে দেন অতিরিক্ত খাবার নিয়ে যাওয়ার জন্য। সংগঠনের তরফে
তা সংগ্রহ করা হয় এবং তা তুলে দেওয়া হয়
ফুটপাতে থাকা অভুক্ত মানুষের হাতে- জানালেন মির্জাপুর আল মারুদীন চ্যারিটেবল এন্ড
ওয়েলফেয়ার সোসাইটি-র সেক্রেটারি রনি মুন্সী। তিনি আরও জানান, সারা পৃথিবীতে
হোটেল, রেঁস্তোরাগুলোতে যত খাবার অতিরিক্ত হয় তা যদি গরীব মানুষদের হাতে তুলে
দেওয়া যেত তাহলে বিশ্বে কেউ অভুক্ত থাকতো না, অনাহারে মৃত্যুও কারো হতো না। তবু
বলব মানুষ আগের চেয়ে এখন অনেক সচেতন। উৎসবে অনুষ্ঠানে হওয়া অতিরিক্ত খাবার তারা অপচয় করতে চান না। ফোন করে অতিরিক্ত
খাবার নিয়ে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান, যা নিঃসন্দেহে এক ভালো বার্তা। মানুষ আরও
সচেতন হলে নিঃসন্দেহে আর কোন ফুটপাতবাসীকে অভুক্ত থাকতে হবে না।
কেউ অনাহারে থাকবে না, হয়ত সংস্থার এ স্বপ্ন আকাশছোয়া, কিন্তু ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে পৌঁছে যাবার লক্ষ্যে কোমর বেঁধেছে মির্জাপুর আল মারুদীন চ্যারিটেবল এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।
কেউ অনাহারে থাকবে না, হয়ত সংস্থার এ স্বপ্ন আকাশছোয়া, কিন্তু ছোট্ট ছোট্ট পায়ে চলতে চলতে পৌঁছে যাবার লক্ষ্যে কোমর বেঁধেছে মির্জাপুর আল মারুদীন চ্যারিটেবল এন্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন