নজর রাখুন

ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন -রোজা রাখার উপায় ডাঃ সেখ হাম্মাদুর রহমান_কনসালট্যান্ট, এন্ডোক্রিনলজি এবং ডায়াবেটিস বিভাগ, মেডিকা হাসপাতাল, মুকুন্দপুর, কলকাতা***নিউরো-রোগ আক্রান্ত ব্যক্তি-রোজা রাখার নিয়ম ও সতর্কতা-নিউরো বিশেষজ্ঞ, ডা: এম এম সামিম# # #রমজান মাসে সুস্থ থেকে রোজা পালনে কিছু নিয়মাবলী অনুসরণ করুন যা স্বাস্থ্য উন্নত করবে-জানালেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ কলিমুজ্জামান মোল্লা।# # #ভারতে আকুপাংচার চিকিৎসার পথিকৃত, ডা: বিজয় কুমার বসুর ১১৩ তম জন্মদিন জাতীয় আকুপাংচার দিবস হিসাবে উৎযাপন# # # মস্তিষ্কের টিউমার, ডাঃ কৌশিক শীল # # #২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হৃদয় দিবস-ডাঃ সৌম্য পাত্র এর স্বাস্থ্যকর অভ্যাসেই রেহাই মিলবে হৃদরোগ থেকে !.##মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ডাঃ অনির্বান রায় এর খুশি মনে সুস্থ থাকুন ! # # #২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ব হৃদয় দিবস-ডাঃ সৌম্য পাত্র এর স্বাস্থ্যকর !.##মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ডাঃ অনির্বান রায় এর খুশি মনে সুস্থ থাকুন !>Latest news !.

মঙ্গলবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৯

শীতে ত্বক ভালো রাখার উপায়


              শীতে ত্বক ভালো রাখার উপায়
                            ডাঃ অরিত্র সরকার
              কনসাল্টট্যান্ট ডার্মাটোলজিস্ট,মেডিকো সুপার স্পেশালিষ্ট হসপিটাল
শীত পড়ছে এই সময় ত্বক ভালো রাখতে কি কি করা উচিত
শীত আসার সাথে সাথে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই এই সময় প্রচুর পরিমানে জল খাওয়া উচিত। সেই সঙ্গে শীতের শাক সবজি, ফলমূল  ভীষণভাবে  খাওয়াও জরুরী। এতে ভিটামিন ও আর্দ্রতা ভেতর থেকে আসে। তার সাথে অবশ্যই চামড়ার ধরণ অনুযায়ী ভালো ময়শ্চারাইজিং ক্রীম মাখতে হবে।
শীতে মূলতঃ কি কি ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে
আবহাওয়া শুষ্কতার কারণে এই সময় শরীরের কোমল অংশে শুষ্কতা তাড়াতাড়ি আসে। ফলে চামড়ায় নানারকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এসমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় কি
এইসময় শরীরের ও ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে যথোপাযুক্ত ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। এতে কাজ না হলে চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে এবং তাঁর পরামর্শমত চললেই চর্মরোগের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে
ত্বককে মসৃণ এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে কিভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া উচিত এবিষয়ে আপনার পরামর্শ
স্নানের পর বা প্রয়োজন মতো অন্য সময় গ্লিসারিন বা হোয়াইট সফট প্যারাফিন মাখা যেতে পারে।
সঠিক পোশাকের ব্যবহার করা উচিত।
প্রচুর পরিমানে জল পান করা উচিত।
নিকোটিন ও অ্যালকোহল ব্যবহার পরিহার বা সীমিত করা উচিত।
শীতে প্রচুর টাটকা শাকসবজী, লেবু, ফলমূল পাওয়া যায় যাতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। সেগুলো পর্যাপ্ত পরিমানে খাওয়া উচিত।
তার সাথে পর্যাপ্ত ঘুম, রিলেক্শন ও সঠিক ময়শ্চারাইজার এর ব্যবহার ত্বক মসৃণ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল  রাখবে।
এই সময় কি কি কারণে পা ফেটে যায়?
আবহাওয়া শুষ্কতাই এর প্রধান কারণ। এছাড়া বয়স্ক মানুষ যাদের চামড়া পাতলা হয়ে আসে বা থাইরয়েড, সুগার ও রক্তাল্পতার রোগীদের এই সমস্যা বেশী দেখা যায়।
পা ফাটা রোধে কি কি করণীয়
পেট্রোলাটাম জেলী, হোয়াইট সফট প্যারাফিন বা ইউরিয়া মিশ্রিত ক্রিম সাধারণ পা ফাটাতে ভীষণ উপকারী। বেশী সমস্যায় বা ক্র্যাক থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই উচিত।
কি কি সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার
শীতে মোজা, নরম জুতা ব্যবহার  এবং সেই সঙ্গে  ময়শ্চারাইজার ব্যবহারও জরুরী। কড়া সাবান বা  স্ক্রুবার ব্যবহার পরিহার করা বাঞ্ছনীয়।
এইসময় ঠোঁট ফাটে কেন
 
এইসময় আবহাওয়ায় আর্দ্রতার মাত্রা কমে যায়। যে কারণে ঠোঁট এর মতো কোমল অংশে শুষ্কতা তাড়াতাড়ি আসে। যার ফলে ঠোঁট ফাঁটার মতো সমস্যা দেখা দেয়।
ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্ত করার উপায় কি
ভালো ময়শ্চারাইজিং ক্রিম যা ঠোঁটের জন্য উপযুক্ত তা ব্যবহার করা যেতে পারে। তাতে সাধারণ ঠোঁট ফাটা সেরে যায়। পেট্রোলটাম জেলিও ব্যবহার করা যেতে পারে।
অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটার ফলে কি মারাত্মক কোন সমস্যা হতে পারে
অনেক সময় অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটার ফলে রক্তক্ষরণ, যন্ত্রণা বা সংক্রমণ হতে পারে। তাই সঠিক সময়ে ঠোঁটের যত্ন না নিলে বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না নিলে সমস্যাগুলি আরও জটিল হয়ে দেখা দিতে পারে। অযথা অবহেলা করলে ইরিটেন্ট কনটাক্ট ডার্মাটাইটিসও হতে পারে।
কিছু চর্মরোগে কারণে সারা বছর ঠোঁট এর চামড়া ওঠেযেমন-ডার্মাটাইটিস এক্সফোলেইয়েট। কিছু  ক্ষেত্রে কেমিকেল এর সংস্পর্শে ঠোঁটে অ্যালার্জিক কনটাক্ট ডার্মাটাইটিস হয়। যেমন সাবান, ক্রিম, কসমেটিক্স বা টুথপেষ্ট থেকে। কিছু বদঅভ্যাস যেমন ঠোঁট কামড়ানো বা ঘন ঘন ঠোঁট চাটাও এরজন্য দায়ী থাকে।
এথেকে মুক্তির উপায়
এক্ষেত্রে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ মেনে উপযুক্ত ওষুধ ও পরিচর্যার প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। অযথা অবহেলা করলে সমস্যা কিন্তু আরও বেড়ে যেতে পারে।
 
পেট্রোলটাম জেলী সাধারণ ভাবে ঠোঁটে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে যাদের ঠোঁটে কোনো সমস্যা রয়েছে তাদের চিকিৎসকের পরামর্শমত ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
মেটাল ও কিছুর রাসায়নিকযুক্ত লিপগার্ডে ঠোঁট এ অ্যালার্জিক কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস, লিউকোডার্মা অব্দি হতে পারে।
লিপ গার্ড সাধারণতঃ মেটাল ও ক্ষতিকর কেমিক্যাল বর্জিত হওয়াই বাঞ্ছনীয়। সঠিক SEP যুক্ত লিপগার্ড ব্যবহার করতে হবে।
কিছু ক্ষেত্রে ভিটামিন বি ১২, ভিটামিন ডি’ -এর অভাবে ঠোঁটে কালো দাগ আসে। শরীরে হরমোনাল কিছু রোগে যেমন- কর্টিসল হরমোনের মাত্রা কম থাকলে বা কমে গেলে কালো দাগ আসে। থাইরয়েড হরমোন, ডায়াবেটি, রক্তাল্পতা বা পোষ্ট ইনফ্লামেটরি, হাইপারপিগমেনটেশন যা  বিভিন্ন রাসায়নিক প্রোডাক্ট ব্যবহারের ফলে হতে পারে এবং তা থেকে সৃষ্ট হয়। কিছু জেনেটিক অসুখ যেখানে কোলনে পলিপ পাওয়া বা কিছু শিরার গঠনগত সমস্যা যেমন ভেনাস ম্যালফরমেশন তা থেকেও ঠোঁটে কালচে ভাব আসে।
ঠোঁটের কালচে ভাব দূর করতে চাই প্রথমতঃ ঠোঁটের সঠিক যত্ন ও সঠিক পুষ্টিকর খাদ্যাভাস। এর সাথে চর্ম বিশেষজ্ঞের এর পরামর্শ ও প্রয়োজনে পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Featured Post

ডায়াবেটিস,হাইপারটেনশন রোজা রাখার উপায়

        ডায়াবেটিস ,   হাইপারটেনশন       রোজা রাখার উপায় ডাঃ সেখ হাম্মাদুর রহমান কনসালট্যান্ট, এন্ডোক্রিনলজি এবং ডায়াবেটিস বিভাগ, মেডিকা হা...