ডাঃ
অনির্বান রায়
অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সাইকিয়াট্রি
এস এস কে এম হসপিটাল ও
কনসালট্যান্ট সাইকিয়াট্রি,
চাইল্ড এন্ড অ্যাডোলেন্স সাইকিয়াট্রি, পিয়ারলেস
হসপিটাল |
আমাদের সমস্ত দৈনন্দিন কাজের চালিকাশক্তি হল মন। শরীরটাকে যদি কাজ সমাধা করার যন্ত্র হিসাবে ভাবা হয়, তবে মন হল যন্ত্রী। যন্ত্রী ছাড়া যেমন যন্ত্র অচল, তেমনই মন ছাড়া শরীর অচল। তাই কাজ যদি সমাধা করতে হয় তবে যন্ত্র যেমন সচল থাকা প্রয়োজন, তেমনি যন্ত্রীটাও সুস্থ থাকা প্রয়োজন। না হলে কাজ সমাধা হওয়া সম্ভব নয়। মন যদি সমস্ত কাজের ক্ষেত্রে শরীরটাকে ঠিক ঠিক ভাবে চালনা করার মত অবস্থায় থাকে তবে তাকেই মানসিক সুস্থতা বলে।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো
না থাকার কারণগুলো কি কি
আমাদের মনকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন চাপের মুখোমুখি হতে হয়। কখনো কাজের চাপ, কখনও সম্পর্কের চাপ, কখনও আর্থিক,পারিবারিক, বন্ধুমহলের বা সামাজিক চাপ- যা আমাদের মনকে পীড়িত করে। মনকে এই সব চাপ সামলে আর্থসামজিক ভাবে একটা সফল জীবনযাপন করতে হয়। প্রত্যেকের এই চাপ সামলানো ক্ষমতা আবার আলাদা। বিশেষত যাদের ক্ষেত্রে এই চাপ সামলানোর ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রে এই চাপগুলো বেশি মাত্রায় পড়লে জীবনের স্বাভাবিক কাজকর্মগুলো সঠিক ভাবে চালানো করা মুশকিল হয়ে পড়ে। তখন বলা যায় আমরা মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।
আমাদের মনকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন চাপের মুখোমুখি হতে হয়। কখনো কাজের চাপ, কখনও সম্পর্কের চাপ, কখনও আর্থিক,পারিবারিক, বন্ধুমহলের বা সামাজিক চাপ- যা আমাদের মনকে পীড়িত করে। মনকে এই সব চাপ সামলে আর্থসামজিক ভাবে একটা সফল জীবনযাপন করতে হয়। প্রত্যেকের এই চাপ সামলানো ক্ষমতা আবার আলাদা। বিশেষত যাদের ক্ষেত্রে এই চাপ সামলানোর ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রে এই চাপগুলো বেশি মাত্রায় পড়লে জীবনের স্বাভাবিক কাজকর্মগুলো সঠিক ভাবে চালানো করা মুশকিল হয়ে পড়ে। তখন বলা যায় আমরা মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছি।
কাদের ক্ষেত্রে এটা বেশি
হয়
মানসিক সমস্যা যে কারোর মধ্যেই দেখা দিতে পারে। বিশেষত বর্তমান জীবনে আমাদের যত রকম চাপের মুখোমুখি হতে হয়, তাতে মানসিক সমস্যা সম্ভাবনা ক্রমবর্ধমান। আমাদের প্রত্যেকরই চাপ সহ্য করার একটা নির্দিষ্ট ক্ষমতা আছে। চাপ সেই মাপকাঠির বেশি হলেই, আমাদের মনের পক্ষে সঠিক ভাবে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়ে। তখনই দেখা দেয় সমস্যা। সুতরাং আমরা কেউই এই মানসিক রোগ বা সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ ভাবে মুক্ত -তা বলা যাবে না।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকার ফলে কি কি সমস্যা হতে পারে
মানসিক সমস্যা যে কারোর মধ্যেই দেখা দিতে পারে। বিশেষত বর্তমান জীবনে আমাদের যত রকম চাপের মুখোমুখি হতে হয়, তাতে মানসিক সমস্যা সম্ভাবনা ক্রমবর্ধমান। আমাদের প্রত্যেকরই চাপ সহ্য করার একটা নির্দিষ্ট ক্ষমতা আছে। চাপ সেই মাপকাঠির বেশি হলেই, আমাদের মনের পক্ষে সঠিক ভাবে কাজ করা মুশকিল হয়ে পড়ে। তখনই দেখা দেয় সমস্যা। সুতরাং আমরা কেউই এই মানসিক রোগ বা সমস্যা থেকে সম্পূর্ণ ভাবে মুক্ত -তা বলা যাবে না।
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকার ফলে কি কি সমস্যা হতে পারে
যুব সমাজের এই সমস্যা বেশি হওয়ার কারণ
এখনকার যুবক-যুবতীদের
সমাজের মধ্যে প্রচন্ড চাপের মুখোমুখি কাজ করতে হয়। আগে আমাদের এতরকম চাপের মধ্যে
কাজ করতে হত না। তখন আমাদের চাহিদা কম ছিল, এখন চাহিদাটা বাড়ছে। এখন
সমাজের চারিদিকে বিভিন্ন প্রলোভন যত
বাড়ছে, তত সেই প্রলোভনগুলো অধিকার করার
চাহিদাও বাড়ছে। এবং চাহিদা যত বাড়ছে, তার সঙ্গে সঙ্গে তাল রেখে ক্ষমতার শেষ সীমায়
নিয়ে যাচ্ছি নিজেদের। স্বাভাবিক ভাবেই আজকের যুব সমাজ এই চাহিদার পিছনে বেশি
মাত্রায় দৌড়াচ্ছে কারণ তাদের দিকেই প্রলোভনটা বেশি। এই
প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহৃত হচ্ছে, দেখা দিচ্ছে মানসিক
সমস্যা।
শরীর খারাপ হলে যেমন চিকিৎসার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
শরীর খারাপ হলে যেমন চিকিৎসার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে কি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
শরীরের যেমন
চিকিৎসা আছে, তেমনি মনেরও চিকিৎসা আছে। মূলতঃ
মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের দ্বারা আমাদের মন পরিচালিত হয়। তাই মস্তিষ্কের কিছু অংশ
বিশেষত নিও কটেক্স বা লিম্বিক সিস্টেম ইত্যাদির কাজের ব্যাঘাত ঘটলেই আমাদের
ব্যবহারের সমস্যা দেখা দেয়। মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরণের জৈব রাসায়নিক পদার্থ থাকে।
যেগুলো এক স্নায়ু কোষ থেকে অন্য স্নায়ু কোষে উত্তেজনা বহন করে। সেগুলোর
পরিমাপের কম-বেশি হলে এই মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। যতদিন যাচ্ছে ততই এই সমস্যা বাড়ছে।
সমাজ থেকে চাপ পুরোপুরি মুক্ত করা সম্ভব নয়-তাহলে
অবশ্যই।
সমাজ থেকে চাপ পুরোপুরি মুক্ত করা সম্ভব নয়। তাই যাদের মানসিক রোগ হওয়ার
সম্ভবনা/হওয়ার প্রবণতা বা প্রচুর মানসিক চাপ আছে তাদের একটু সর্তক থাকতে হবে। স্ট্রেসটাকে
নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এক্ষেত্রে একটা ওষুধ প্রয়োগ করা থাকলে সে স্বাভাবিক ভাবে
কাজকর্ম করতে পারে। হয়ত ওষুধটা তৎক্ষণাৎ বন্ধ করা যায় না, বহুদিন ধরে এটা চালাতে হতে
পারে। যেমন –হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস
ইত্যাদি সমস্যায় চটজলদি ওষুধে সমাধান হওয়া সম্ভব নয়। তেমন এক্ষত্রেও তাই। তবে
–হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস এর মত দীর্ঘদিন হয়ত ওষুধটা চালাতে হয় না, তবে বেশ কিছুদিন
চালিয়ে যেতে হয় সেই পরিস্থিতিটা কাটিয়ে উঠার জন্য। দেখা গেছে ৭০-৮০ শতাংশ
ক্ষেত্রেই ওষুধ খেয়ে সুন্দর ভাবেই কাজকর্ম চালানো সম্ভব হচ্ছে।
কি ধরণের চিকিৎসা প্রয়োজন হয়
কি ধরণের চিকিৎসা প্রয়োজন হয়
মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়গুলো কি কি
মানসিক
স্বাস্থ্য বজায় রাখায় বাঞ্ছনীয়।
অসুস্থ হয়ে
পড়ার আগেই, মনের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া জরুরী।
যার যা
ভালো লাগে সেদিকে বেশি সময় ব্যয় করা উচিত। মনের প্রশান্তি টা খুবই প্রয়োজন।
পরিবারের যতটা
পারেন বেশি সময় কাটান
নিজের হবি
বা নিজের ভালো লাগা অভ্যাসগুলোর প্রতি বেশি সময় ব্যয় করুন।
নিয়মিত আধ ঘন্টার
মত শরীর চর্চা করুন। মন ভাল রাখার একটা অন্যতম উপায় এটা।
সমাজিক ভাবে
টিকে থাকতে গেলে ইঁদুর দৌড় হয়ত এড়ানো যাবে না। তবে মাঝে মাঝে ভাবা উচিত দৌড়াচ্ছি
কেন? আমি কি পেতে চাই জীবন থেকে এবং আমি খুশি তো এই জীবনে।
মাঝে মাঝে
জীবনের মূল্যায়ন জরুরি এবং তার ভিত্তিতে নিজের লক্ষ্য এবং প্রয়োজনগুলোকে
পরিবর্তন করে নেওয়া জরুরি। নতুন করে
দৌড় শুরু করার জন্য, মাঝে মাঝে ছুটি নেওয়াও জরুরি।
মিউজিক মানসিক
প্রশান্তির একটা অঙ্গ। মিউজিক থেরাপিতে নিশ্চয়ই কিছুটা উপকার হবে। তবে মানসিক
স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ার পরে শুধু মিউজিক থেরাপি দিয়ে উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
মিউজিক
থেরাপির সাথে সাথে অন্যান্য চিকিৎসা বা
থেরাপিও জরুরী। তবে এটা নির্ভর করে মানসিক অসুস্থ কতটা তার উপর।
মানসিক স্বাস্থ্য
সুস্থ রাখতে হলে বিশেষজ্ঞ হিসাবে আপনার পরামর্শ
নিয়মিত
জীবনযাপন করুন।
নিজের
প্রয়োজন বা লক্ষ্যগুলোকে মাঝে মাঝে পূর্ণমূল্যায়ণ করুন। সত্যিই সেগুলো আপনার
কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্যের
দিকে নজর দিন। পরিবারের স্বাস্থ্যের প্রতিও যত্নবান হন।
যত্ন নিন
নিজের প্রতি।
বিশ্বাস
রাখুন নিজের উপর।
সাক্ষাৎকারঃ ওসিউর রহমান, ৭৯৮০১৫৫২৭৭
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন